Last Updated on 8 months by Shaikh Mainul Islam
কুরবানি মুসলিম উম্মাহর জন্য একটি অন্যতম উৎসব। কুরবানির সব বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আজকে আমরা কুরবানির প্রশ্ন উত্তর নিয়ে আলোচনা করবো।
মুসলিম উম্মাহের জন্য কুরবানি গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আমাদের অনেকের মনের মধ্যে কোরবানি নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন জাগে। আর আজকে কোরআন এবং হাদিসের আলোকে কুরবানি সম্পর্কিত প্রশ্নের উত্তর নিয়ে আলোচনা করা হবে।
আজকের পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পারবেন, কুরবানির নিয়ম থেকে শুরু করে গোশত ভাগ করা নিয়ে সবকিছুর উত্তর।
চলুন জেনে নেওয়া যাক কুরবানির প্রশ্ন উত্তর সম্পর্কিত বিস্তারিত। কোরবানি সম্পর্কিত কোরবানির প্রশ্ন উত্তর জানতে পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন।
কুরবানির গোশত বন্টনের নিয়ম
কুরবানির গোশত ভাগ করার নিয়মাবলী নিয়ে অনেক আলেমদের ভিন্ন মতামত আছে। কিন্তু, প্রকৃত অর্থে কুরবানির গোশত ভাগ করার নিয়ম হচ্ছে, কুরবানির গোশতের কিছু অংশ নিজ পরিবারের জন্য রাখতে হবে।
আরও পড়ুনঃ কোরবানির দোয়া । কোরবানি সম্পর্কে হাদিস
বাকি সব বিলিয়ে দিতে হবে আত্মীয় এবং প্রতিবেশিদের মধ্যে।
অনেক সময় দেখা যায় ভাগে কুরবানি দেওয়ার ফলে খুব কম পরিমাণে ভাগে পরায় কোন ভাগ সম্পন্ন করা যায় না। তখন রান্না করে আত্মীয়দের খাওয়ায়ে দিলেও হবে।
তবে কুরবানির গোশত দীর্ঘদিন সংগ্রহ করে খাওয়া ঠিক না। এতে অন্যদের হোক নষ্ট হয়। আর আল্লাহ হক নষ্ট কারিদের পছন্দ করেন না।
অন্যদের দিয়ে কুরবানি করানো । কুরবানি নিয়ে প্রশ্ন
অনেক সময় দেখা যায় আর্থিক ভাবে বৃত্তবানরা তৃতীয় পক্ষকে দায়িত্ব দেয় কুরবানি দেওয়ার। এখানে তৃতীয় প্রতিষ্ঠান টাকার বিনিময়ে সম্পূর্ণ কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।
শেষে মালিক পক্ষকে কিছু গোশত দিয়ে যায়।অনেকে এই বিষয়ে জানতে চেয়েছেন। আসলে এভাবে কুরবানির আসল হক আদায় হয় কি না?
উত্তরঃ অনেক উন্নত বিশ্বে তৃতীয় ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান দ্বারা কুরবানি করানর নিয়ম চালু আছে।
এর কারণ সেখানে পরিবেশ রক্ষায় সরকারি আইন এটা। মুসলিম কসাই দিয়ে কন্ট্রাক্ট করে কুরবানি করতে হয়।
কিন্তু, ইসলামিক দেশগুলোতে এমন চর্চা না থাকাটাই উত্তম। তবে যারা পারিবারিক ভাবে করতে অপারগ তাদের জন্য এমন দুই একটি প্রতিষ্ঠান থাকা উচিত।
তবে এর অনুশীলন না করতে পেরে উচিত না।
কি পরিমাণ সম্পদ থাকলে কুরবানি ওয়াজিব হয় । কুরবানি ওয়াজিবের কারণ
প্রশ্নঃ কি পরিমাণ সম্পদ হলে কোরবানি দিতে হয়? কোন ব্যক্তির উপর কোরবানি ওয়াজিব?
উত্তরঃ কোনো ব্যক্তির আরবি বছরের ১০ থেকে ১২ যিলহাজ পর্যন্ত নিসাব পরিমাণ সম্পদের বেশি সম্পদের মালিক হলে ওই ব্যক্তির কুরবানি দিতে হয়। নিসাব পরিমাণ বলতে নির্ধারিত পরিমাণ বোঝায়। অর্থাৎ, সাড়ে সাত ভরি স্বর্ণ পরিমাণের সম্পদ থাকলে কুরবানি দিতে হয়।
হিরার হিসেব করতে হলে সাড়ে বাহান্ন ভরি হিরার সম মূল্য পরিমাণ সম্পদ থাকলে কোরবানি করা ওয়াজিব।
যে ব্যক্তির নিসাব/ নির্ধারিত পরিমাণ সম্পদ থাকে তার উপর কুরবানি করা ওয়াজিব।
প্রশ্নঃ যাকাত ওয়াজিব না হলে কি কুরবানি করা লাগে না? যাকাত এবং কুরবানি কি একই বিষয়ের উপর নির্ভর করে?
উত্তরঃ যাকাত এবং কুরবানি সম্পূর্ণ আলাদা দুইটি বিষয়। এছাড়া, যাকাত এবং কুরবানি ওয়াজিব হওয়ার কোম্পানিও ভিন্ন।
একটি ওয়াজিব হওয়ার সাথে অন্যটি ওয়াজিব হওয়ার কোনো সম্পর্কে নেই।
কুরবানির নিসাব পরিমাণ সম্পদ হিসাবের ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই টাকা পয়সা এবং সোনা রুপার সাথে জমি, বাড়ির ও হিসেব করতে হবে।
কুরবানি সম্পর্কিত FAQS
উত্তরঃ কুরবানির অন্যতম ফজিলত হচ্ছে, কুরবানির দিন পশুর রক্ত মাটিতে পড মাত্রই বান্দার সকল গুনাহ মাফ হয়ে যায়।
না। কুরবানির সময়ে নিজের ইচ্ছা ব্যতীত সম্পদের পরিমাণ কমে গেলে তার কুরবানি করা ওয়াজিব হবে না।
তবে ঋণ পরিশোধ করার পর নির্ধারিত সম্পদের মালিক থাকলে অবশ্যই কুরবানি করতে হবে।
একটি ছাগল দ্বারা মাত্র একজন ব্যক্তির নামে কুরবানি দেওয়া যায়। কিন্তু, পরিবারের সবার নামে কুরবানি দেওয়া একটি ছাগল যথেষ্ট না।
এক্ষেত্রে, সম্পদ ভাগ করে দেওয়ার পর সবার নিসাব পরিমাণের থেকে বেশি সম্পদ থাকলে সবাইকে কুরবানি করতে হবে।
তবে, পরিবারে নাবালক বাল বালিকার নামে কুরবানি ওয়াজিব না। এক্ষেত্রে শুধু সাবালক সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষের উপর কুরবানি ওয়াজিব হবে।
এছাড়া কুরবানির দিন কুরবানি করার থেকে আল্লাহর কাছে অন্যতম আর কোনো আমল হয় না।
এটা সারা বিশ্বের মুসলিম উম্মাহর জন্য নির্ধারিত। কুরবানি করা ওয়াজিব।
কোরবানি সম্পর্কে সর্বশেষ
আজকে আমরা কুরবানির প্রশ্ন উত্তর নিয়ে বেশ কিছু বিষয়ে জেনেছি।
কুরবানির আলোচনায় এ পোস্ট থেকে আশা করছি অনেক কিছুই জানতে পেরেছেন।
এছাড়া কুরবানি এবং ইসলাম সম্পর্কিত আমাদের সকল পোট পড়তে Islamic Category ভিজিট করুন।
আমাদের সকল পোস্ট পড়তে ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।
সর্বশেষ আপডেট পেতে চোখ রাখুন অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ Dainikantha এ।
12 thoughts on “কুরবানির প্রশ্ন উত্তর । কোরবানি নিয়ে বিস্তারিত”